টস জেতার ফায়দা নিতে পারল না বাংলাদেশ

টস জিতে অধিনায়ক মুমিনুল হক আগে বোলিংয়ে সিদ্ধান্ত নিলেন। কারণ হিসেবে জানালেন, শুরুতে উইকেটে থাকা হালকা ঘাস আর আর্দ্রতার ফায়দা তুলতে চান বোলারদের দিয়ে। ডারবান টেস্টের সকালের ফল বিচারে ধোপে টেকেনি মুমিনুলের নেওয়া সিদ্ধান্ত। সাফল্য বিচারে ব্যর্থ পেসাররা, তাতে প্রথম সেশনে খেই হারালো বাংলাদেশ দল। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ ইস্যুতে টালমাটাল দক্ষিণ আফ্রিকাই ব্যাট হাতে দাপট দেখাচ্ছে।

দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচের প্রথম দিনের সকালের সেশনে স্কোর বোর্ডে ৯৫ রান তুলে ফেলেছে প্রোটিয়ারা। এই সেশনে কোনো উইকেট তুলতে পারেনি বাংলাদেশ। দুই ওপেনার ডিন এলগার ৬০ এবং সারেল আরউই ৩২ রানে অপরাজিত আছেন।

যে পেস বোলিং বিভাগ নিয়ে এতো আশা, প্রত্যাশা আর আলোচনা; তারাই হতাশ করেছে অনিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে। তাসকিন আহমেদ, এবাদত হোসেনদের আলগা বলের ফায়দা নিয়েছেন সফরকারী দুই ব্যাটসম্যানরা। অনেকটা ওয়ানডে স্টাইলে খেলেই ব্যক্তিগত ফিফটি তুলে নিয়েছেন অধিনায়ক এলগার।

মুমিনুল অবশ্য এক্ষেত্রে ভাগ্যকে দুষতে পারেন কিছুটা। সকালটা ঠিক সে অর্থে পাননি তিনি। সাইড স্ক্রিন জটিলতায় সময়ের আধাঘণ্টা পর শুরু হয় খেলা। তবে ধারাবাহিকভাবে আলগা বল করে যাওয়ার কাছে মুমিনুলের আক্ষেপ টেকার কথা নয়। বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টায় খেলা শুরু কথা থাকলেও প্রথম বলটি মাঠে গড়ায় ২.৩৪টায়। ইনিংসের শুরুর বলেই লেগ স্টাম্পের ওপর তাসকিনের ঝুঁলিয়ে দেওয়া ফুলটস। যোগ্য জবাব দিলেন এলগার। কবজির মোচড়ে ৪ রান বের করে নিলেন।

সেই তাসকিন নিজের প্রথম স্পেলের ৪ ওভারে গুনেছেন ১৭ রান, মেডেন নেই। অন্যপ্রান্ত থেকে বল করা আরেক পেসার এবদত ৬ ওভারে দিয়েছেন ৩০ রান। যদিও এবাদত আর তাসকিন কয়েকবার অস্বস্তিতে ফেলেছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার দুই ওপেনার এলগার ও আরউইকে, তবে সুযোগ সৃষ্টি করতে পারেননি তারা। বরং একটু খাটো লেংথে করেছেন বল। আরেকটু ফুল লেংথে বল করলে পুরস্কার হয়তো পেতে পারতেন।

দুই ব্যাটসম্যান থিতু হয়ে যাওয়ায় একটা ব্রেক থ্রুর আশায় ইনিংসের ১৯তম ওভারে প্রথমবারের মতো স্পিনার আনেন মুমিনুল। তবে মেহেদী হাসান মিরাজ আক্রমণে এসেও অধিনায়কের আস্থা পূরণ করতে পারলেন না। মিরাজের ওই ওভারেই ব্যক্তিগত ফিফটি তুলে নেন এলগার। টেস্ট ক্যারিয়ারের ২০তম অর্ধশতকের স্বাদ পান ৬০ বল খেলে। যেখানে ৯টি চারে বাউন্ডারি থেকে নিয়েছেন ৩৬ রান।

পরে প্রথম সেশনের বাকিটা সময় অনায়াসে পার করর দেন এলগার আর আরউই। এই সেশনে খেলা হয়েছে ২৫ ওভার। যেখানে কোনো উইকেট না হারানো প্রোটিয়ারা স্কোর বোর্ডে জমা করেছে ৯৫ রান। এলগার ৬০ এবং আরইউ ৩২ রান নিয়ে দিনের দ্বিতীয় সেশনের খেলা শুরু করবেন।

আপনি আরও পড়তে পারেন